উপকারিতা এর দিক থেকে কিসমিসের অনেক সুনাম রয়েছে আমাদের মাঝে। আমাদের মধ্যে অনেকে হয়তবা কিসমিসের উপকারিতা জানার জন্য ব্রাউজ করছি। কিন্তু যথাযথ ভালো ফলাফল বা রেসাল্ট পাচ্ছিনা। আমরা অনেক জায়গা থেকে তথ্য বা ইনফরমেশন খোঁজার চেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছি, তাই না?

কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা




আজকে আপনাদের সামনে হাজির করব কিছু কিসমিসের উপকারিতা। আপনাদের এই জানার আগ্রহ এর জন্য, আমরা চিন্তা করেছি কিসমিসের এর বিষয় নিয়ে কিছু কথা লিখব।


আপনি যদি আমাদের এই ওয়েবসাইটে নতুন হয়ে থাকেন। তা হলে আমাদের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি আপনারা কিসমিসের এর উপকারিতা বিষয় সম্পর্কে ভালো জানতে পারবেন।

কিসমিস হলো ফলের শুকানো অংশ। কিসমিস দুধ বা মিষ্টি জাতীয় খাবারের স্বাদ এবং মান বাড়িয়ে দেয়। বাঙ্গালী সাধারনত মিষ্টি বা দুধ যেমনঃ  ক্ষীর,পায়েস, মুখরোচক করতে ব্যবহার করে।  শুধু কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি?


কিসমিস শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায়।  শুকনো কিসমিস খাওয়ার পরিবর্তে ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি। কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত ​​পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।  প্রতিদিন কিশমিশের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই।  এছাড়া কিসমিস হার্ট/হৃদয়  ভালো রাখে।জেনে নিন কালোজিরার উপকারিতা



কিসমিসে কি কি উপাদার রয়েছে


  • কিসমিস নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল।  
  • কিসমিসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ আছে।  
  • আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা সহজে রোগমুক্তির কারণ।  
  • আর আছে প্রচুর আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার।  


অনেকেই হয়তো জানেন না যে, কিসমিস ভেজানো জলও শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি। কিসমিসের জল লিভার  পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। 

কিসমিস ভেজানো পানি খেলে শরীরে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয়।কিসমিশের উপকারিতার মধ্যে আরো রয়েছে- যার ফলে রক্ত পরিশোধিত হতে শুরু করে। 

কমপক্ষে সপ্তাহে চারদিন এই কিসমিস ভেজানো জল খেলে তা পেট পরিষ্কার রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।  যাঁরা প্রায়শই পেটের গণ্ডগোলে ভোগেন তাঁদের জন্য এই টনিক বিশেষ উপকারি। 

উপরন্তু এর থেকে পাওয়া যায় ভরপুর এনার্জি, যা সারাদিন আপনাকে রাখবে প্রাণবন্ত।  শুধু তাই নয়, কিশমিশ ভেজানো জল খেলে লিভারের পাশাপাশি কিডনিও খুব ভাল থাকে। আর কিডনি ও লিভার যদি ভাল থাকে তাহলে তা পরোক্ষভাবে হজমে সাহায্য করে।


কিসমিসের উপকারিতার কয়েকটি বিশেষ ফেক্ট


১.কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে আছে আয়রন যা রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া কমাতে সরাসরি সাহায্য করে। এছাড়াও, ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অন্তর্গত বেশ কিছু ভিটামিন এতে পাওয়া যায়, যা কিনা নতুন রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। কিসমিসে কপারও থাকে যা রেড ব্লাড সেল তৈরিতে সাহায্য করে।

২.মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী কিসমিসে থাকা বোরন। বোরন ধ্যান বাড়াতে অনেক সহায়ক। ফলে কাজে মনোযোগ বাড়ে। এটি বাচ্চাদের পড়াশোনাতেও মনোযোগী করে তুলতে পারে

৩.কিসমিসে আছে ফেনল ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যার জীবাণুনাশক শক্তি, অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল এবং অ্যান্টিওক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য ব্যাক্টেরিয়া এবং ভাইরাল ইনফেকশানের জন্য হওয়া জ্বর কমাতে অনেক সাহায্য করে।


৪.নিয়মিত কিসমিস খেলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। আপনি যদি পেটের সমস্যায় নিয়মিত ভোগতে থাকেন, তাহলে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ভেজানো কিসমিস খান। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পান তারা ওষুধের বদলে নিয়মিত কিসমিস খেয়ে দেখতে পারেন। 

৫.চোখের জন্য আদর্শ খাবার হলো কিসমিস। কিসমিস দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন-এ ও বিটা ক্যারোটিন।