উপকারিতা এর দিক থেকে কালোজিরার অনেক সুনাম রয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেকে হয়ত বা কালোজিরার উপকারিতা জানার চেষ্টা করছি। কিন্তু যথাযথ ভালো ফলাফল পাচ্ছিনা। আমরা অনেক জায়গা থেকে তথ্য খোঁজার চেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছি, তাই না?
আজকে আপনাদের সামনে হাজির করব কিছু কালোজিরার উপকারিতা। আপনাদের এই জানার আগ্রহ এর জন্য, আমরা চিন্তা করেছি কালোজিরার এর বিষয় নিয়ে কিছু লিখব।
আপনি যদি আমাদের এই ওয়েবসাইটে নতুন হয়ে থাকেন। তা হলে আমাদের েএই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি আপনারা কালোজিরার এর উপকারিতা বিষয় সম্পর্কে ভালো জানতে পারবেন।
কালোজিরার উপকারিতা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
- বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা অনেক। আর এ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে কালোজিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ডায়াবেটিস রোগ নিরাময়ে অনেক কাজে লাগে কালোজিরা। কালোজিরা রক্তে উপস্থিত গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তার জন্য ডায়বেটিস রোগীদের পূনরায় ঔষধ সেবনের দরকার হয় না এবং ডায়াবেটিস রোগীরা উপকার পেয়ে থাকেন। কালোজিরার উপকারিতা হাদিস।ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে , কালোজিরা ব্লেন্ডিং মেশিনে ব্লেন্ড করতে হবে এবং প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে ১ গ্লাস পানিতে ২-৩ চিমটি কালোজিরা গুড়ো মিশ্রিত করে পান করতে হবে। তাছাড়া রং চা বা গরম ভাতের সাথে কালোজিরা গুড়ো মিশিয়ে প্রতিদিন ২ বার করে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসবে আনেকটাই।
- চুলপড়া এখনকার মানুষের একটি নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার চুলপড়া রোধে তৈরি হয়েছে নানা ধরনের উপায়ও। আর চুলপড়া রোধে সেগুলোর সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী সমাধান পাওয়া গেছে কালোজিরায়। সর্ব প্রথমে ১টি মাঝারি আকারের লেবুর অর্ধেকটা কেটে লেবু রস বের করে নিতে হবে, তারপর লেবুর রসের ৩-৪ চামচ লবণ মিশিয়ে নিতে হবে ভালো ভাবে। লেবুর রসের সাথে লবন ভালোভাবে মেশানো হলে এই রসের পুরোটা মাথায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট সময় রেখে সম্পূর্ণ মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। এর ফলে চুলে মিশে থাকা সকল ময়লা জীবাণু ও খুশকি খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে । এবার মাথার চুল ভালোকরে শুকোতে হবে, চুল শুকোনো হলে মাথায় কালোজিরার তেল লাগাতে হবে। আবার ২ দিন পর পর লেবুরস এবং লবন মিশিয়ে মাথা ধুয়ে কালোজিরার তেল লাগাতে হবে। এর ফলে ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যেই মাথায় চুল পরা রোধ করা,সম্ভব হবে।
- আমাদের জীবন চলার পথে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের কাজের চাপ ও ব্যস্ততার ফলে মানুষের ব্রেনশক্তি একঘেয়ে হয়ে পরে এবং একটা সময়ে কমবেশি সব কিছুই মানুষ ভুলতে শুরু করে বা স্মরন রাখতে পারি না। এমন সমস্যার সমাধান করতে পারে কালোজিরা। কালোজিরা একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। মানুষের মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করার মাধ্যমে কালোজিরা স্মরণ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে উপকারি ভূমিকা রাখে। ১ চামচ কালোজিরা গুড়ো আর ১ চামচ মধু মিশ্রিত করে নিয়মিত সকালের নাশতার আগে খেতে হবে। এর ফলে মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ও অনেক বাড়বে।
- যাদের মেদ বৃদ্ধি পাচ্ছে তারা মেদ কমাতে বা নিজেকে ফিট রাখতে চাইলে আপনাদের জন্য প্রথম কাজ হলো – ২ চা চামচ মধু ও ২ চামচ কালোজিরা তেল কুসুম গরম পানিতে মিক্স করে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পান করতে হবে। এরফলে অতিরিক্ত মেদ কমে যাবে শারীরিকভাবে ফিট থাকবেন।
- কালোজিরা সেবন করলে নারী পুরুষ উভয়ের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং যৌন সমস্যা প্রতিরোধ হয়। কালোজিরা নিয়মিত খাবারের সাথে খেলে পুরুষের স্পার্ম সংখ্যা বেড়ে যায় এবং পুরুষত্বহীনতা দূর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ,এক চা চামচ জাইতুন তেল, এক চা চামচ মাখন, এক চা চামচ কালোজিরা মধুসহ প্রতিদিন ৩ বার ৪/৫ সপ্তাহ খেতে পারলে যৌন সমস্যার দ্রুত সমাধান মিলবে।
- অনিয়মিত মাসিক সমস্যার দুর করতে কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস করা জরুরী। এক কাপ কাঁচা হলুদ রসে এক কাপ আতপ চাল ধোয়া পানি নিয়ে এর সাথে এক কাপ চা চামচ কালোজিরা তেল মিক্স করে প্রতিদিন ৩ বার করে খেতে হবে, এতে মাসিক সমস্যার দ্রুত সমাধান মিলবে।
- নবজাতক শিশুর মা-এদের বুকের দুূধ বৃদ্ধি করতে কালোজিরা অনেক উপকারি। যেসকল মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই, তাদের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে কালিজিরা। কালোজিরার উপকারিতা হাদিস। মায়েরা প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ৫-১০ গ্রাম কালিজিরা মিহি করে দুধের সাথে খাওয়ার অভ্যাস করতে পরলে মাত্র ১০-১৫ দিনে বুকের দুধের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে।
- প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দুটি বা তিনটি রসুন কোষ চিবিয়ে খেয়ে নিলে এবং সমস্ত দেহের মাঝে কালোজিরার তেল মালিশ করে সূর্য তাপে কমপক্ষে ৩০ মিনিট থাকতে পরলে এবং এক চা-চামচ কালোজিরা তেলের সাথে এক চা-চামচ পরিমাণ মধু মিশ্রিত করে প্রতি সপ্তাহে ২/৩ দিন খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। এভাবে প্রতিদিন খাওয়া সম্ভব না হলেও ২-১ দিন পর পরও খাওয়া যাবে,এতে করে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
- মাথা ব্যাথা বর্তমান সময়ে অনেক জটিল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই মাথা ব্যাথা সমস্যা নিরসনের জন্য কালোজিরার উপকারিতা অনেক।
- আমরা কপালের দুই পাশে কালোজিরার তেল মালিশ করলে ৫ মিনিট সময় ধরে এতে মাথা ব্যাথা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে । তাছাড়াও মাথা ব্যাথা যাদের প্রতিদিনের সাথী তাদের জন্য ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থা রয়েছে। কালোজিরা দিয়ে বড়ি বানিয়ে খেলে মাথা ব্যাথার উপদ্রপ অনেক কমে যাবে এবং সাথে সাথেই এর ভালো সুফল পাওয়া যাবে।
- কালোজিরা বড়ি বানানোর জন্য, ৪-৫ টুকরো আদা, ৩ মুঠো পুদিনাপাতা, ২ মুঠো কালোজিরা পিষে নিতে হবে, এর সাথে যুক্ত করতে হবে ১ চা চামচ মধু। এবার এগুলো একসাথে মিশিয়ে হাত দিয়ে বড়ি বানিয়ে নিতে হবে। আর বড়িগুলো ৩-৪ দিন কড়া রোদে শুকিয়ে নিলে ২০-২৫ দিনের মতো সংরক্ষন করে খাওয়া যাবে। ঠিক যখনই মাথা ব্যাথা শুরু করবে ৩ টি বড়ি নিয়ে এক গ্লাস পানি সাথে খেয়ে নিতে হবে । এগুলো খেলে ৫-১০ মিনিটের মধ্যে মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যাবে।
- এসিডিটি বা বদহজম আজকাল ঘরে ঘরে। আর এই এসিডিটি বা হজমের সমস্যা হলে আর এখন টাকা খরচ করে ঔষধ কিনতে হবে না। এই রোগের নিরাময় করা সম্ভব ঘরে থাকা উপাদানে। কালোজিরা মোটামুটি আমাদের সবার ঘরেই থাকে এখন । আর এই কালোজিরা আজ থেকে ব্লেন্ড করে রাখবেন। এসিডিটি বা হজমজনিত কোনো সমস্যার দেখা দিলেই এক গ্লাস গরম দুধে ২-৩ চামচ কালোজিরা গুড়ো মিশিয়ে পান করলে সাথে সাথেই উপকার পাওয়া যাবে। তাছাড়াও ক্ষুধামন্দা সমস্যা থাকলে এটাও দূর হবে।
- মানুষের শরীরের রোগ নিরাময়যোগ্য করার পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও কালোজিরার তুলনা হয়না। কালোজিরাতে রয়েছে লিনোলেনিক এবং লিনোনেইক নামক এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড যা ত্বককে ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে এর পাশাপাশি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে ১ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, এবং ১ চা চামচ কালোজিরার তেল, এক সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ২ বার নিয়মিত ত্বকে ম্যাসাজ করলে দ্রুত ত্বক উজ্জ্বল হবে।
- আপনার যদি ব্রণ সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অন্য কিছু, এটা সেটা, ট্রাই না করে সাথে কালোজিরার পেস্টের সাথে আপেল সাইডার ভিনেগার দিনে ২ বার ব্যবহার করতে পারেন।কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা আর এটা ব্যাবহারের ফলে ৭ দিনের মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।
- উচ্চরক্তচাপ এর মত নিরবঘাতক হতে রক্ষা পেতে কালোজিরাকে প্রতিদিনের সাথী করতে হবে। যেমন-নিয়মিত চা পানের অভ্যাস থাকলে চায়ের পানি গরম হওয়ার সাথে সাথে ১ চা চামচ কালোজিরা মিশিয়ে দিতে হবে অথবা চায়ের সাথে ১ চা চামচ কালোজিরা তেল মিশাতে হবে। খাদ্যের তালিকায় কালোজিরা ভর্তা রাখতে হবে। এছাড়া ভোরে ঘুম থেকে উঠেই ২ চামচ কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। যে সকল মানুষের হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের খাদ্যাভ্যাসে কালোজিরাকে নিত্য সাথী করতে হবে তাহলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।
- ২ চা চামচ কালোজিরা তেল লেবু চা এর সাথে মিশ্রিত করে সকাল বিকাল খেলে সর্দি-জ্বর দ্রুত কমে যায়। এছাড়াও ১০-১২ টি তুলসিপাতা ৩ কাপ পানিতে , ৪ চা চামচ লেবুর রস, ২ চা চামচ কালোজিরা তেল এবং ১ চা চামচ মধু এক সাথে ৫ মিনিট জ্বাল দিতে হবে, এটা নিয়ম করে সকাল বিকাল খেলে ৭ দিনের মাঝে জ্বর, সর্দি-কাশি ইত্যাদি নিরাময় হয়ে যাবে।
আরো জানতে পারবেন এখানে
- ভেজাল মিশ্রিত খাদ্যে-দ্রবাদি খাওয়ার ফলে মানুষ আজকাল নানা রকম জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে । তাই মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ভীষণ প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কালোজিরার রয়েছে সকল রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা। প্রতিদিন কালোজিরা খাদ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কটলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায় এবং দেহের সকল অঙ্গপ্রতঙ্গ সতেজ থাকে।
- আধা চামচ কালোজিরা তেলে ১ চা চামচ মধু মিশ্রিত করে খেলে শরীরের সাধারণ রোগের পাশাপাশি জটিল রোগের ও প্রতিষেধক হিসেবে ভালো কাজ করে। তূছাড়াও প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কালোজিরা ভর্তা রাখলে তা রোগ প্রতিরোধ অনেক উপকারি ভূমিকা পালন করে।
- শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগীদের জন্য কালোজিরাকে অত্যাবশকীয় উপাদান হিসেবে গন্য করা হয় । কালোজিরা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দূর করতে ১ চা চামচ কালোজিরা তেলের সাথে ১ গ্লাস দুধ মিশ্রিত করে প্রতিদিন পান করতে হবে ।কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা। তাছাড়াও নিয়মিত খাদ্যের তালিকায় কালোজিরা ভর্তা রাখলে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট রোগ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।
- হাঁটু ও পিঠের ব্যাথা নিরাময়ে কালোজিরা অনেক উপকারক হিসেবে কাজ করে থাকে। যাদের বয়স ৫০ বা ৬০ এর বেশি অথবা এর একটি কম তাদের হাঁটু ব্যথা, পিঠে ব্যথা প্রায় প্রতিদিনের সাথী । এই সকল ব্যাথা থেকে মুক্তি লাভে ব্যবহার করতে হবে কালোজিরা। ৩টি মধ্যম সাইজের আদা এবং ৩-৪ টি মধ্যম সাইজের হলুদ পিষে নিয়ে , ১ চা কাপ সরিষার তেল, ২ চা কাপ নিম তেল এবং ২ চা কাপ কালোজিরা তেলের সাথে ১০-১৫ মিনিট গরম করতে হবে। এর পরে তেলটি ঠান্ডা করে নিয়ে বোতলে সংরক্ষণ করতে হবে। ব্যথার জায়গায় তেলটি মালিশ করলে সাথে সাথে ব্যথা কমে যাবে এবং প্রতিদিন ব্যবহারে করলে দীর্ঘ সময়ের সব ব্যথা নিরাময় হবে।
- কিডনি জনিত যেকোনো রকমের রোগের প্রতিকারক উপাদান রয়েছে কালোজিরাতে। বিশেষ করে যাদের কিডনিতে পাথর হয়েছে তারা পাথর দূর করতে -২ চামচ কালোজিরা গুড়ো এবং ২ চামচ মধু কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন ভোরে খেতে পারেন । তাছাড়াও পাথর সরাতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের অম্লিয় উপাদান সাহয্য করে। মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান যা কিডনির পাথর রোগের প্রতিরোধ করে। ১ চা চামচ ভিনেগার, ২ চা চামচ মধু, ২ চা চামচ কালোজিরা তেল এক সাথে মিশিয়ে টানা ৩০ দিন খেলে কিডনির পাথর অপসারণ হয়ে যায়। এর পাশাপাশি কিডনিসহ শরীরের সকল ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
আরো জানুন
- চোখ ব্যথা, ঝাপসা দেখা, চোখ জ্বালাপোড়া সমস্যা দূর করতে কালোজিরা ব্যবহার করা হয়। চোখ ব্যথা হলে চোখের পাতা, ভ্রুসহ, চোখের দুই পাশে কালোজিরা তেল মালিশ করতে হবে প্রতিদিন ঘুমানোর আগে। চোখে ঝাপসা লাগলে, গাজর ব্লেন্ড করে এক কাপ পরিমাণ গাজরের জুস নিতে হবে এবং জুসে ৩ চা চামচ কালোজিরা তেল মিশ্রিত করে খেতে হবে টানা ৩০ দিন ভোরে বা ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে।কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা চোখের জ্বালাপোড়া বেশি হলে ২ টুকরো গাজর, ৪-৫ টুকরো শসা এবং ৪ চা চামচ কালোজিরা ব্লেন্ড করে নিতে হবে ও এর মিশ্রণের সাথে যোগ করতে হবে ২ চা চামচ মধু। এভাবে কালোজিরা মিশ্রণ ঠিকমতো দিনে ২ বার খেলে চোখ জ্বালাপোড়া দূর হয়ে যাবে।
কালোজিরা নিয়ে বিশেষ কিছু কথা
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা কালোজিরা নিয়মিত সেবন করবে, কেননা একমাত্র কালোজিরায় রয়েছে মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের মহৌষধি গুন ”। কালোজিরায় রয়েছে অনিদ্রা, চুলপড়া, মাথাব্যথা মাথা ঝিমঝিম করা, মস্তিষ্ক শক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়ানো, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, অলসতা ও নিষ্ক্রিয়তা খাবারের অরুচি সহ সকল প্রকার রোগের মহৌষধি গুণাগুণ।
শরীরের সুস্থতা রক্ষা করতে কালোজিরা আদিকাল হতে আজ অবধি গুরুত্বপূর্ণ উপকারি ভূমিকা পালন করছে । বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষনায় উঠে এসেছে যে ,কালোজিরাতে প্রায় সকল প্রকার ধরনের রোগের প্রতিকার ও প্রতিষেধক গুন পাওয়া যায়।
কালোজিরায় সকল জীবাণুনাশক উপাদান বিদ্যমান আছে। রয়েছে লৌহ, ফসফেট, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট, শক্তিশালী হরমোন ও ক্যান্সার প্রতিরোধক কেরোটিন যা মানুষের শরীরের জন্য গুরুপূর্ণ।
0 মন্তব্যসমূহ