ওজন কমাতে সাহায্য করে কাঠবাদাম। শরীরের ফোলাভাব কমায়। যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। কাঠবাদামের অনেক উপকারিতা। ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে ভরপুর কাঠবাদাম রান্না করে খেলেও উপকার।
কাঠ বাদামের উপকারিতা যেগুলো
১. কাঠ বাদাম ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আমন্ডে উপস্থিত মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট খিদে কমায় ও পেট ভরিয়ে রাখে।
২. হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ভেজানো আমন্ড। প্রয়োজনীয় এনজ়াইম নিঃসরণে সাহায্য করে।
৩. হৃদয় ভালো রাখে আমন্ড। ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল (লো ডেন্সিটি লিপোপ্রোটিন) নিয়ন্ত্রণ করে।
৪. এই বাদামে উপস্থিত ফ্ল্যাভোনয়েড শরীরে টিউমার হতে দেয় না।
৫. রোজ সকালে খালি পেটে ভেজানো আমন্ড খেলে শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে।
৬. সন্তানসম্ভবাদের নিয়ম করে ভেজানো আমন্ড খেতে পরামর্শ দেন স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞরা। এতে উপস্থিত ফলিক অ্যাসিড জন্মের সময় শিশুর খুঁত দূর করে।
৭. ভেজানো আমন্ডে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস্ শরীরের ফোলাভাব কমায় ও অকালপক্কতা নিয়ন্ত্রণ করে।
৮. ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে ভোজানো আমন্ডে উপস্থিত ভিটামিন B17।
কাঠ বাদামের কয়েকটি বিশেষ উপকারিতা
ক্ষীর বা পায়েসের উপর গার্নিশ করেও খাওয়া যায়। উত্তর ভারতের খাদ্য তালিকায় বাদামি কোর্মা বলে একটি পদ খুব জনপ্রিয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সে পদটি কাঠবাদাম দিয়ে তৈরি হয়।
এক বাটি পানিতে কাঠবাদামকে রাতভর ভিজিয়ে রাখলে উপরের বাদামি খোসাটি খুব সহজে বেরিয়ে আসে। খোসা বেরিয়ে আসার পর সাদা বাদামটিকে এক সপ্তাহ রেখে খেতে পারবেন। খোসা ছাড়ানো অবস্থায় খেলে কাঠবাদাম অনেক বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে।
১.কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে
শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় বাদাম। প্রতিদিনের ডায়েটে বাদামের অন্তর্ভুক্ত করলে হার্টের স্বাস্থ্য নিয়ে আর চিন্তায় থাকতে হবে না।
আসলে বাদামে উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরী উপাদান শরীরে অন্দরে ভাল কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমতে শুরু করে।
২.মস্তিস্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
আমেরিকার অ্যান্ড্রস ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে বাদামে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আরো জানুন
৩.হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
গবেষণায় দেখা গেছে, বাদামে উপস্থিত ফসফরাস শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু কাজ করে যার প্রভাবে হাড়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
৪.পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়
বাদামে রয়েছে প্রায় ৩.৫ গ্রাম ফাইবার, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৪ গ্রাম ফ্যাট সহ ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি২, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম।
৫.ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে
পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলেন, বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই মৌল।
৬.ওজন নিয়ন্ত্রণের সহায়ক
বাদাম খাওয়ার পর ক্ষিদে একেবারে কমে যায়। ফলে মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে শরীরে প্রয়োজন অতিরিক্ত ক্যালরি জমে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও কমে।
৭.কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
বাদামের ফাইবার শরীরের জন্য উপাদেয়। আর্জিনিন এবং হেলদি ফ্যাটের সঙ্গে এই ফাইবারের উপস্থিতি কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ রোগীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি।
৮.কোষের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
বাদামে থাকা প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ই শরীরের প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে থাকা কোষের কর্মক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরে যাতে কোনও ক্ষতের সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে।
৯.হজম ক্ষমতার উন্নতি
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পানিতে ভেজানো বাদাম খেলে দেহের অন্দরে বিশেষ কিছু এনজাইমের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপও কমে যায়।
0 মন্তব্যসমূহ